শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫, ০৫:৫১ পূর্বাহ্ন
“বানারীপাড়ায় স্কুল কমিটির নির্বাচন”
সুমন খান,বানারীপাড়া প্রতিনিধি॥
বানারীপাড়ায় বে-আইনীভাবে তৈরী ভোটার তালিকা দিয়ে উপজেলার উত্তরকুল মাধ্যমিক বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা ও নির্বাচন অনুষ্ঠিত করায় বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।বুধবার বানারীপাড়া সহকারী জজ আদালতে অভিভাবক সদস্য প্রার্থী মনিরুজ্জামান এ মামলাটি দায়ের করেন। আদালতের বিচারক তাহাররুন খানম মামলাটির আদেশ দানে পরবর্তী দিন ধার্যর নির্দেশ দেন।
মামলায় বরিশাল শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. ইউনুস ছাড়াও অভিযুক্ত অন্যরা হলেন বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের বিদ্যালয় পরিদর্শক,জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা,মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের বরিশাল অঞ্চলের উপ-পরিচালক,বানারীপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা,উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও নির্বাচনে প্রিজাইডিং অফিসার,বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক,অভিভাবক সদস্য প্রার্থী শহিদুল ইসলাম,আনোয়ার হোসেন,ফারুক হোসাইন,সাইদুল ইসলাম,আবুল কালাম আজাদ,আ. জলিল সরদার ও হেলেনুর বেগম।
মামলা পরিচালনাকারী আইনজীবী আজাদ রহমান জানান গত ৭ আগষ্ট বানারীপাড়ার উত্তরকুল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন উপলক্ষে সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রস্তুত করেন।ওই তালিকার অনেক ভোটার তালিকা প্রস্তুতের বহু পূর্বে মারা গেছেন। এছাড়া বিদেশে অবস্থান করা ব্যাক্তি অন্য বিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থী সহ অপরাপর ব্যাক্তিকে চূড়ান্ত ভোটার তালিকায় অর্ন্তভূক্ত করা হয়। এ ব্যাপারে মনিরুজ্জামান বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেও ভোটার তালিকা সংশোধন করা হয়নি।এর ধারাবাহিকতায় গত ১৬ আগষ্ট বানারীপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এক স্মারক আদেশে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোস্তফা আলমকে প্রিজাইডিং অফিসার হিসেবে নিয়োগ দিলে তিনি ১৯ আগষ্ট নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন। তফসিল অনুযায়ী ২২ সেপ্টেম্বর নির্বাচনের তারিখ নির্ধারন করা হয়।
নির্বাচনের দিন সঠিকভাবে ভোট গ্রহণ না করে মৃত ব্যাক্তি,ভূয়া ভোটার এমনকি ভোটার নয় এমন ব্যক্তিদের দিয়ে ভোট প্রদান করা হয় বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। এছাড়ার অপরাপর প্রার্থীদের ব্যালট পেপারের মধ্যে মনিরুজ্জামানের বৈধ ভোটার ব্যালট পেপার ঢুকিয়ে তাদের পক্ষে গণনা করা এবং মিথ্যা অজুহাতে তার ভোট বাতিল করা হয়। এরপরেও নির্বাচনে তিনি ৮৯ ভোট প্রাপ্ত হন। সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক প্রহসনের নির্বাচন করে অসৎ ও দুর্নীতিবাজদের নির্বাচিত করেন অভিযোগ করে মনিরুজ্জামান ২৫ সেপ্টেম্বর মামলায় অভিযুক্তদের কার্যালয়ে গিয়ে নির্বাচনী ফলাফল ও চূড়ান্ত ভোটার তালিকা বাতিলের অনুরোধ করেন। কিন্তু তারা তা বাতিল করতে অস্বীকৃতি জানালে বুধবার ২৬ সেপ্টেম্বর মামলাটি দায়ের করেন।
Leave a Reply